| |
               

মূল পাতা জাতীয়  আ’লীগ-বিএনপির মধ্যে সংলাপ হবে; আশা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের


 আ’লীগ-বিএনপির মধ্যে সংলাপ হবে; আশা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের


রহমত ডেস্ক     22 August, 2022     04:57 PM    


ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা করছি। এ সংলাপের মাধ্যমে তারাই সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন। এটা তাদের দায়িত্ব। বাংলাদেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় যুক্তরাজ্য। ভোট আয়োজন, গণনা ও ফলাফল প্রকাশে স্বচ্ছতাও থাকা উচিত। কারা নির্বাচিত হবেন, তা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পর্যবেক্ষক বা অন্যান্য বিষয়ে যুক্তরাজ্য কেবল সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করা বাংলাদেশের দায়িত্ব, যদিও এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতার একটি বিষয় আছে। সেদিক থেকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে একটি গঠনমূলক নির্বাচন যেন অনুষ্ঠিত হয়, আমরা  সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

আজ (২২ আগস্ট) সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ঢাকার বেসরকারি সংস্থা ‘সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ-সিজিএস এবং জার্মানির সংস্থা ‘ফ্রিডরিক-ইবার্ট স্ট্রিফটাং-এফইএস আয়োজিত ‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মিট দ্যা অ্যাম্বাসেডর’ সংলাপ পরিচালনা করেন সিজিএসয়ের অ্যাক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিল্লুর রহমান। এ সময় আয়োজনে সিজিএসয়ের চেয়ারম্যান ডা. মনজুর এ চৌধুরী, এফইএসয়ের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সাধন কুমার দাসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, শিক্ষাবিদ, উন্নয়নকর্মীরা বক্তব্য দেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর বরাবরই চাপ অব্যাহত রেখেছে তারা। আর রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় ২০১৭ সাল থেকেই যুক্তরাজ্য আর্থিক সাহায্য দিয়ে আসছে। এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অন্তত ২ লাখ কনজারভেটিভ সদস্য যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী যেই হোক, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আগের মতোই শক্তিশালী থাকবে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রপ্তানির একটি বড় জায়গা, এ রফতানি যেন আরও সহজ হয়, তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। পাশপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকিতে থাকা বাংলাদেশকে সাহায্য করছে যুক্তরাজ্য।